Description
আমাদের চারপাশের খুব সাধারণ কোন কিছু যে কত অসাধারণ ভাবে সৃষ্টি তা নিজ চোখে দেখার আগ্রহ কি কোন কিছুতে মেটে !!! সেই দৃশ্য দেখতে মাইক্রোস্কোপ ছাড়া এত ভালোভাবে দেখা সম্ভব কি !!!
পৃথিবীর এই অসাধারণ সৌন্দর্যের সাথে সোনামণি দের পরিচিত করে দেয়ার জন্যেই আমাদের এই ছোট্ট আয়োজন এই মাইক্রোস্কোপ !!!
মাইক্রোস্কোপের প্রতিটি এক্সপেরিমেন্টই ছোটদের বিজ্ঞান শেখার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে, সে আর বিজ্ঞানকে আর ভয় পাবে না । তাই যে বয়সেই আপনি সন্তানকে বিজ্ঞান এর এই অমূল্য রত্নটি উপহার দেন না কেন ওর দারুণ ভাবে কাজে আসবে এবং ও সবসময় এক ধাপ এগিয়ে থাকবে।
মাইক্রোস্কোপটি কোন বয়েসের বাচ্চার জন্যে উপযুক্ত ?
এটি ৫ থেকে ১৭ এর যে কোন বয়েসের জন্যে সবচেয়ে ভাল হবে।
বাচ্চারা কি একা একা এক্সপেরিমেন্টগুলি করতে পারবে?
হ্যাঁ, সাথে ম্যানুয়াল বই থাকার কারণে বাচ্চারা খুব সহজেই এগুলি দেখে এক্সপেরিমেন্টগুলি করে ফেলতে পারবে।
একজন সচেতন অভিভাবক হিসাবে আপনি যে সব কারণে সন্তানের হাতে বিজ্ঞান শেখার মাইক্রোস্কোপ টি তুলে দিতে পারেন-
পড়াশোনায় ভাল করতেঃ
এই ছোট ছোট এক্সপেরিমেন্ট গুলো বাচ্চাদের মধ্যে প্রশ্ন করার প্রবণতা তৈরি করে। বিজ্ঞান বরাবরই আমাদের কাছে নীরস এবং কঠিন একটি বিষয় হিসেবে গণ্য হয়। আমরা অনেকেই বইয়ের সূত্র এবং উদাহরণগুলি মুখস্থ করে পড়ে এসেছি। আমাদের সন্তানেরা যেন তা না করে, তারা যেন আনন্দের সাথে বিজ্ঞান শিখতে পারে, এই মাইক্রোস্কোপ দিয়ে যেন সে নিজ চোখে প্রকৃতির সুন্দর্য উপভোগ করে । নিজে নিজে নানা রকম এক্সপেরিমেন্টগুলি করার ফলে তার মধ্যে এক ধরণের আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে, এবং সে বিজ্ঞানের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। তার কাছে তখন আর বিজ্ঞান মুখস্থ করার বিষয় মনে হবে না বরং বুঝে বুঝে পড়তে শিখবে যা সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতিতে খুব সহায়ক হবে।
মেধা বিকাশেঃ
মেধার বিকাশ অনেকটাই চর্চার ব্যাপার। মাইক্রোস্কোপ বাচ্চাদের চর্চার মধ্যে রাখবে। নানা পদার্থের গঠনের উপাদান গুলি হাতেকলমে পরীক্ষা করে দেখার ফলে তাদের ভাবনার নতুন নতুন দুয়ার খুলে যায়, তারা হয়ে ওঠে অন্যদের চেয়ে আলাদা এবং অনন্য
ডিজিটাল আসক্তি দূর করতেঃ
আমাদের সমীক্ষায় দেখা গেছে মাইক্রোস্কোপ এর এক্সপেরিমেন্টগুলি বাচ্চাদের সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট করতে ব্যস্ত রাখছে, এবং তারা নতুন নতুন বস্তুর সাথে পরিচিত হচ্ছে। আরো বেশি জানার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে সেগুলির জবাব পেতে গিয়ে অনেকে নতুন নতুন অনাজা আবিষ্কারের দিকে মনোযোগী হচ্ছে । এ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ডিভাইসের আসক্তি থেকে তাদের মনোযোগ অনেকাংশে সরে যাচ্ছে। তারা তাদের মেধার সঠিক ব্যবহার করতে পারছে ।
সন্তানের সাথে কোয়ালিটি সময় কাটাতেঃ
বাচ্চাদের হাতে আমরা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন খেলনা তুলে দিচ্ছি, যার বেশিরভাগই হয়তো তার অবসর কাটাতে সাহায্য করছে, কিন্তু কোয়ালিটি টাইম দিচ্ছে না। মাইক্রোস্কোপের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট সন্তানকে সাথে নিয়ে আপনি করতে পারেন। এতে আপনার সন্তানের সাথে আপনার অসংখ্য সুন্দর স্মৃতি তৈরি হবে। এবং ওকে ভাল কিছু শেখাতেও পারবেন।
আমরা বিশ্বাস করি একজন সচেতন অভিভাবক হিসাবে মাইক্রোস্কোপটি আপনি আপনার সন্তানের হাতে তুলে দিবেন এবং ওর মেধাকে শাণিত করতে সাহায্য করবেন।
মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে সোনামনি রা নিজেদেরকে ভাবতে পারবে ক্ষুদে বিজ্ঞানী, অনুভব করতে পারবে বিজ্ঞানের সৌন্দর্য। এই মাইক্রোস্কোপ টি শিশু-কিশোরদের জন্যে শুধু যে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে তাই না, একাডেমিক পড়ালেখার প্রতিও আগ্রহী করে তুলবে।
শিশুদের মন কাদামাটির মত। এই সময়ে সে যা শিখবে সেটাই ভবিষ্যতে তার চিন্তার স্ট্রাকচার হয়ে রবে।
এাই খুদে মাইক্রোস্কোপ এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে ক্ষুদ্র বস্তুকে কয়েকশত গুণ বড় করে দেখা যায়। শিশুরা ছাড়াও আগ্রহি যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
যা যা পর্যবেক্ষণ করা যাবে:
১. এই যন্ত্রটির সাহায্যে বিভিন্ন আনুজীব, উদ্ভিদকোষ, প্রাণিকোষ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
২. এর সাহায্যে আপনি আপনার শরীরের রক্ত কণিকা, চুলের কোষ, চামড়া সহ বিভিন্ন জিনিস পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
৩. যন্ত্রটি দিয়ে আপনি পুকুরের মাছের বিভিন্ন রোগ শনাক্ত করতে পারবেন।
৪. এটির সাহায্যে আপনি কাপড়ের সুতার মান ভালো মত যাচাই করতে পারবেন এবং প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে কতটি সুতা তা গুণতে পারবেন।
৫. আপনি আপনার ক্ষেতের শস্য কণা এটি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ধান, গম সহ নানা ধরণের ফসল আপনি খুঁটিয়ে দেখতে পারবেন।
৭. হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে যারা মাছ চাষ করেন তারা এটির সাহায্যে পানির অনুজীব দেখতে পারবেন, ব্যবহৃত জিনিস পত্রের ভেজাল নির্ণয় করতে পারবেন।
৮. যারা মাশরুম চাষ করেন তারা এই যন্ত্রটি দিয়ে মাশরুমের মান পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
এছাড়াও একজন শিক্ষার্থী হিসেবে ক্ষুদে জগতের বিচিত্র প্রাণি, তাদের স্বভাব, চলাফেরা, প্রভৃতি আপনি এই যন্ত্রটির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
Reviews
There are no reviews yet.